প্লাস্টিকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্লাস্টিকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি
  • লেখক রাজু আহমেদ বাবু ,নিউট্রিসনিস্ট কোচ
Description

প্লাস্টিক হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি

৪.৫ গুণ বাড়ায়-গবেষণা।

(টি ব্যাগ থেকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক)।

আমাদের ধমনীর ভিতরে প্লাস্টিক পৌঁছে গেছে। ‌মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম এর ক্ষতির কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, সার্জারি করা ২০০ জনেরও বেশি লোকের কাছ থেকে সংগৃহীত ডেটাতে দেখা গেছে যে, প্রায় ৬০% মানুষের প্রধান ধমনীতে মাইক্রোপ্লাস্টিক বা এমনকি ছোট ন্যানোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। ঐ গবেষণায় দেখা গেছে যে, যাদের ধমনী প্লাস্টিক-মুক্ত ছিল তাদের তুলনায়, যাদের

ধমনী প্লাস্টিক ছিল, তারা অস্ত্রোপচারের ৩৪ মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা মৃত্যুর সম্ভাবনা ৪.৫ গুণ বেশি ছিল।

বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। যেমন Endocrine Disruptors, বন্ধত্ব, ক্যান্সার হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২০ সালে একটি লেখায় আমি বলেছিলাম, টি ব্যাগ থেকে ব্যাপক পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিক আমাদের দেহে প্রবেশ করছে। তারপর বিভিন্ন কলিগদের চ্যাম্বারে গেলে টি ব্যাগের চা পাওয়া যায়। আমরা আমরা শুনি কিন্তু মানি না।‌

একটি টি ব্যাগ গরম পানিতে (৯৫ ডিগ্রি সেঃ) মেশালে ঐ টি ব্যাগ থেকে ১১.৬ বিলিয়ন Microplastics এবং ৩.১ বিলিয়ন Nanoplastics নির্গত হয়। Nanoplastics চুল থেকে ১৫০ গুন ছোট। মানবদেহের কোষের মধ্যে প্রবেশের জন্য এটি যথেষ্ট ক্ষুদ্র। ১ কাপ চা থেকেই ১৪.৭ বিলিয়ন Microplastics ও Nanoplastics আপনার দেহে ঢুকছে। সারাদিনে আপনি কত কাপ পান করছেন?

World Wide Fund for Nature এর তথ্যমতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫ গ্রাম করে প্লাস্টিক একজন মানুষের শরীরে ঢুকছে। প্রাকৃতিক সব কিছু মাটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া, সেগুলো ব্রেক ডাউন করে মাটির সাথে মিশে যায়। কিন্তু প্লাস্টিককে ব্রেক ডাউন করার মতো কোন ব্যাকটেরিয়া নেই। তাই, প্লাস্টিককে ব্রেক ডাউন করার ক্ষমতা প্রকৃতির নাই।

সপ্তাহে ৫ গ্রাম এই ধরনের Micro এবং Nano প্লাস্টিক মানবদেহে প্রবেশ করে চিরস্থায়ী ভাবে থেকে যায়। এসব প্লাস্টিক মানবদেহকে ক্ষতিকারক In-flammatory এবং Oxidative Stress এ নিয়ে যায়। এমনকি মানুষ মারা যাওয়ার পরও, মানুষের হাড় হাড্ডি মাটির সাথে মিশে গেলেও, সেই সেই প্লাস্টিক অক্ষত থাকে। ‌

আধুনিক যুগে প্লাস্টিক এগিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। এজন্য চেষ্টা করতে হবে যতটা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। যেমন টি ব্যাগ থেকে লিকার বের করে গরম পানিতে দিয়ে একটু শেকে নিলেই সহজে, সহজেই চায়ের প্লাস্টিক এড়ানো সম্ভব।

প্লাস্টিক নিয়ে আমার পূর্বের একটি লেখার লিংক

(প্লাস্টিক কিভাবে আপনার এনার্জি, লিবিডো, ফার্টিলিটি ধ্বংস করছে)

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=6526449670781777&id=100002504261273&mibextid=9R9pXO

গ্রুপে যোগ দিন

https://www.facebook.com/groups/198742639013857/?ref=share_group_link

লেখক রাজু আহমেদ বাবু

নিউট্রিসনিস্ট কোচ